১৯৭১ সালের ৫ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সারা দেশের চূড়ান্ত বিজয়ের ১১ দিন আগে বরিশালের উজিরপুরকে শত্রুমুক্ত করেন। আজ উজিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কোনো কর্মসূচি নেই।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২৬টি উপজেলার একমাত্র যুদ্ধকালীন ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ৯ নম্বর সেক্টরের হেড কোয়ার্টার ছিল বড়াকাঠার দরগাবাড়ি। এই সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন উজিরপুরের কৃতি সন্তান মেজর এম এ জলিল। তাই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মূল টার্গেট ছিল উজিরপুর। বিজয়ের প্রায় ২ মাস আগে ১৭ অক্টোবর দরগাবাড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালাতে গিয়ে ওই এলাকার আশপাশে ২১টি গ্রামে নারকীয় তাণ্ডব চালায় ঘাতকেরা।
এ ব্যাপার মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ডেপুটি কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ জানান, করোনার কারণে উজিরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি।