নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় ছুরিকাঘাতে নবকুমার সাহা (২৮) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্ডা পল্লী বিদ্যুতের অফিসের সামনে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১০টার দিকে নবকুমারের মৃত্যু হয়।
নিহত নবকুমার সাহা নরসিংদীর হাজীপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে। তিনি আড়াইহাজারের বান্টি বাজারে একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক তরুণী এবং রহমত উল্লাহ নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নবকুমারের প্রেমিকা। আর রহমত উল্লাহ নবকুমারের বন্ধু।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, নবকুমার দেহে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই শুভ সাহা বলেন, তাঁর ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সোনারগাঁয়ের তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, নবকুমারের সঙ্গে এক মুসলিম মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুজন দুই ধর্মের হওয়ায় এ সম্পর্ক তাঁদের পরিবার মেনে নেয়নি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মনোমালিন্য চলছিল।
ইকবাল আরও জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে কর্মস্থল থেকে মদনপুরে বন্ধু রহমত উল্লাহকে আনতে যাচ্ছিলেন নবকুমার। পাকুন্ডা পল্লী বিদ্যুতের অফিসের সামনে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। আহত অবস্থায় নবকুমারকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। এ ঘটনার সঙ্গে তিনজন যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নবকুমার সাহাকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার প্রেমিকা ঢাকা মেডিকেলে ছুটে যান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে এবং রহমত উল্লাহকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।