হোম > ছাপা সংস্করণ

আবারও দুই অঙ্কের ঘরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চার মাসের ব্যবধানে আবারও দুই অঙ্কের ঘরে উঠেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। এর আগে গত নভেম্বর মাসে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশে উঠেছিল খাদ্য মূল্যস্ফীতি।

সরকারি হিসাবে মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, বাজারের বাস্তব চিত্র তার চেয়েও খারাপ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদেরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও (বিআইডিএস) বলেছে, বাস্তবে মূল্যস্ফীতি ১৫ শতাংশের ঘরে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর মুদ্রা নীতিও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। উল্টো বেড়েই চলেছে।

নানা পদক্ষেপের পরও উচ্চ মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলা নিয়ে ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির পর পৃথিবীর সব দেশেই মূল্যস্ফীতির চাপ পরিলক্ষিত হয়েছে, বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ব্যয় সংকোচনের কোনো বিকল্প নেই এবং আগামী বাজেটে আমরা এর প্রতিফলন প্রত্যাশা করছি। সরকারকে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আরও মনোযোগী হতে হবে।’

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি চাপে আছে। একই সঙ্গে যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে, সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি।

খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও এপ্রিল মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। ওই মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে তা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাবে কিছুটা কমেছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে। আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্য বলছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে, শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। তার মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ