নীলফামারীর ডিমলায় বিভিন্ন খাল ও নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ভাঙন রোধে কোটি টাকা ব্যয়ে নদী খনন ও ব্লক স্থাপন উন্নয়ন প্রকল্প।
অভিযোগ উঠেছে, রাতের আঁধারে ওই সব বালু-পাথর বিক্রি হচ্ছে একটি সিন্ডিকেটের যোগসাজশে। তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাঁদের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার সদ্য খনন করা নাউতারা ও ধুম নদীর দুই তীরে কয়েকটি স্পটে পাড় কেটে বালু উত্তোলন চলছে। ঝামেলা এড়াতে দিনের বদলে এসব স্পটে রাতের আঁধারে বালু তোলা হয়। খোদ ডালিয়া পাউবোর নদী খাল খনন ও বাঁধ পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে দরপত্র অনুযায়ী লোকাল ড্রেজার ব্যবহারের নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এখানে অবৈধ বোমা মেশিনের মাধ্যমে নদী ও পুকুর খনন করার নামে বালু-পাথর উত্তোলন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া প্রতিদিন ট্রাক্টরে করে অবৈধভাবে বালু পরিবহনের কারণে রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা মানিক হোসেন বলেন, ‘একাধিক বালু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট নদী ও খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছে। প্রশাসন মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন বালুখেকোরা।’
বালু ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, ‘অনেকেই বালু উত্তোলন করছে। তাই আমিও সবাইকে ম্যানেজ করেই বালু উত্তোলন করছি। ইতিমধ্যে কয়েক গাড়ি বালু বিক্রি হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ-দৌলা জানান, পাউবোর খনন প্রকল্পে ড্রেজার মেশিন প্রবেশ করার কোনো উপায় না থাকায় শ্যালো মেশিন দিয়েই খনন কাজ করা হচ্ছে। তবে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইবনুল আবেদীন জানান, ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত আছে। বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জরিমানা করা হয়েছে। শিগগির মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বেআইনি। বালু উত্তোলন ঠেকাতে তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।