নীলফামারীর ডিমলা বাবুরহাট বাজারে আবর্জনার স্তূপ। রাত হলেই চলত মাদকসেবীদের আড্ডা। এটিকে নান্দনিক রূপ দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ। জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বিজয় চত্বর’। নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবি শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ। অবশেষে কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে তা। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ বিজয় চত্বরে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
এর আগে ৬ মার্চ সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার আলোকসজ্জা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিজয় চত্বরটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
চত্বরটি নির্মাণে ছোট কয়েকটি উপকমিটি গঠন করা হয়। একটি কমিটির সভাপতি ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান জানান, সাংসদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে জায়গাটি আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিজয় চত্বরে সুবিশাল শহীদ মিনার, জাতির পিতার ভাস্কর্য, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ, নাগরিকদের বসার বেঞ্চ, নারী-পুরুষদের পৃথক শৌচাগার, হাঁটাচলার পথ, এলইডি লাইটিং, শিশুদের জন্য আলাদা খেলার জায়গা, দোলনা ও স্লিপারসহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, একটি মিনি পার্কে যেসব থাকা দরকার, তার অনেক কিছুই রাখা হয়েছে এ বিজয় চত্বরে। স্থানীয়রাও এমন নান্দনিক চত্বর পেয়ে খুশি। এখন চত্বরটি রক্ষণাবেক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ।
সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আফতাব উদ্দিন সরকার জানান, নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, জাতির পিতার অবদান তুলে ধরা এবং শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে বিজয় চত্বরে শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, শিশুদের খেলার সরঞ্জাম নির্মাণ করা হয়েছে।