নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তাবেষ্টিত কয়েক গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে ভরসা নড়বড়ে কাঠের সাঁকো। উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তাঁতিপাড়া গ্রামে খালের ওপর নির্মাণ করা এ সাঁকোতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এবারের বন্যায় সাঁকোটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৩০ মিটার দীর্ঘ ও ৫ ফুট চওড়া কাঠের সাঁকোর পাটাতনের দুই প্রান্তসহ ভেঙে গেছে প্রতিবন্ধক। মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে কাঠের তক্তাগুলো। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন এলাকাবাসী। ক্রমেই নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠের সেতুটি। একটু অসাবধানতায় প্রায়ই শিক্ষার্থী, পথচারী, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী সাঁকো থেকে নিচে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ ছাড়া সাঁকোর পাশে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা প্রতিদিন চলাচল করেন ওই সাঁকো দিয়ে।
আলো নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তফিজার রহমান জানান, সেতুর মাঝখানে কাঠের তক্তাগুলো ভেঙে যাওয়ায় মোটরসাইকেল পারাপার করা যায় না। হেঁটেই স্কুলে যাতায়াত করতে হয়। ছোট শিক্ষার্থীরা সাঁকোর নিচে কাদা পানি ভাঙিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। যেকোনো সময় বিষাক্ত পোকামাকড়ের আক্রমণের শিকার হতে পারে। ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল ইসলাম জানান, ওই রাস্তা আর সাঁকো এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। তবে শিক্ষার্থী আর কৃষকের কথা মাথায় রেখে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।