ঝালকাঠিতে পুকুরে ডুবে তায়েবা আক্তার নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার বিকেলে পৌর এলাকার বাসন্ডা কায়েদ সরণিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার মো. বাপ্পির মেয়ে। এ ঘটনায় শিশুটির স্বজনেরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে বিক্ষোভ করেছেন।
শিশুটির স্বজনেরা জানান, মা ডলিয়া বেগম ও বাবা মো. বাপ্পির সঙ্গে বাসন্ডা এলাকার আবুল হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেতে যায় শিশু তায়েবা। বিকেলে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায় ডালিয়া। পরে ওই বাড়ির পুকুরে ভেসে থাকতে দেখে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে বাসন্ডা এলাকার গাউসুল আযম দরবার সড়কের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে শিশুটি খিঁচুনি দেয় ও চোখ মেলে তাকায়। স্বজনেরা আবারও শিশুটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ততক্ষণে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরিবর্তন হয়। সেই চিকিৎসক রোগীর স্বজনদের জানান, ৩০ মিনিট আগে শিশুটি মারা গেছে। এরপর উত্তেজিত এলাকাবাসী ও স্বজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। হাসপাতালে উপস্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মালা বেগম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্স করে বরিশাল শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুর রহমান বলেন, ‘বাচ্চাটিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছে। আমি অক্সিজেন দিয়ে চেষ্টা করেছি। এর আগে যখন আনা হয়েছিল, তখন আমার দায়িত্ব ছিল না।’