মৌলভীবাজারে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউপিতে তিনবার নৌকা প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দুজনকে মোট চারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়। তবে চতুর্থবারে নৌকার প্রতীক পান আতাউর রহমান।
কামারচাক ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। এই ইউপিতে প্রথমবার দলীয় প্রার্থী হিসেবে চিঠি পান বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হক সেলিম। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার স্বাক্ষর করা চিঠি আসে তাঁর নামে। কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে যায় প্রার্থী। সেলিমের পরিবর্তে দ্বিতীয়বার আতাউর রহমানকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করে চিঠি দেওয়া হয়। সেখানেও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর ছিল। কিন্তু সেই চিঠিতে প্রার্থী আবার পরিবর্তন হয়। তৃতীয় চিঠিতে পুনরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নৌকার প্রার্থী করা হয় সেলিমকে। সর্বশেষ গতকাল সোমবার যাচাই বাছাইয়ের শেষ দিনে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয় আতাউর রহমানকে।
জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাক্ষরে নাজমুল হক সেলিমের নাম কেন্দ্রে গেলেও আতাউর রহমানের নাম সেই তালিকায় ছিল না।
নাজমুল হক সেলিমের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহেদুল হক কচি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন গত ২৫ তারিখ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড নাজমুল হক সেলিমের মনোনয়ন বাতিল করে আতাউর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ ২৫ তারিখে চূড়ান্ত মনোনয়নের দেওয়া হয়ে সেলিমের নামে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক নজরুল সেলিমকে দেওয়া চিঠি আমলে নেননি। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিছবাহুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে অবগত নয়। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ভালো বলতে পারবে।’
কামারচাক ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী খানের কার্যালয়ে গেলে তিনি সাংবাদিকদের ঢুকতে দেননি।