হোম > ছাপা সংস্করণ

কোরবানির পশু হারিয়ে গেলে করণীয়

মুফতি ইশমাম আহমেদ

সামর্থ্যবানদের জন্যই কোরবানি ওয়াজিব। যাঁদের সামর্থ্য নেই, তাঁরা কোরবানি করলে সওয়াবের অধিকারী হবেন। তবে কোরবানির পশু কেনার পর যদি তা চুরি হয়ে যায়, হারিয়ে যায় বা মারা যায়, তাহলে করণীয় কী?

আলিমগণ বলেছেন, কোরবানির উদ্দেশে পশুটি যিনি কিনেছিলেন, তিনি যদি সামর্থ্যবান হন, তাহলে তাঁর জন্য আরেকটি কোরবানি করা আবশ্যক। কারণ সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। আর যদি সেই ব্যক্তি দরিদ্র হন, কোরবানি তাঁর জন্য আবশ্যক ছিল না, সওয়াবের আশায় কোরবানি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁকে আরেকটি পশু কিনে নতুন করে কোরবানি দিতে হবে না।

তামিম ইবনে হুয়াইয়িজ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার কোরবানির পশু জবাই করার আগেই হারিয়ে গেল। এ বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে আমি ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন, কোনো অসুবিধা নেই।’

এ সম্পর্কে বাহরুর রায়েক-এ এসেছে, কোরবানির পশু যদি হারিয়ে যায়, তাহলে গরিব ব্যক্তির জন্য হারিয়ে যাওয়া পশুর পরিবর্তে আরেকটি পশু ক্রয় করা জরুরি নয়। তবে লোকটি যদি সম্পদশালী হন, তাহলে আরেকটি পশু ক্রয় করে কোরবানি করা ওয়াজিব।

তবে কোরবানির পশু হারিয়ে যাওয়ার পর যদি আরেকটি কেনা হয় এবং আগেরটিও খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে কোরবানিদাতা সামর্থ্যবান হলে যেকোনো একটি পশু কোরবানি করলেই যথেষ্ট হবে। তবে দুটিই কোরবানি করে দেওয়া উত্তম। আর দরিদ্র হলে দুটিই কোরবানি করে দেওয়া ওয়াজিব। কারণ তাঁর জন্য যেহেতু কোরবানি ওয়াজিব ছিল না, তবুও কোরবানির পশু কিনেছেন, তাই তা কেবল কোরবানিই করতে হবে।

সূত্র: বায়হাকি: ৫ / ২৪৪; ইলাউস সুনান: ১৭ / ২৮০; বাদায়েউস সানায়ে: ৪ / ১৯৯; কাজিখান: ৩ / ৩৪৭; আল-বাহরুর রায়েক: ৯ / ৩২০; ফাতহুল কাদির: ৯ / ৫৩০। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ