লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে গতকাল বুধবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধান খেতে নিয়ে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন চালানো হয় বলে তাঁর পরিবারের লোকজন জানায়।
গৃহবধূর স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামী জসিম উদ্দিন মোবাইলে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে রাতে বাড়ি আসবে বলে জানান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে দরজা খুলতে বলা হয়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে গৃহবধূর মুখ ও চোখ বেঁধে পাশের ধানখেতে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁকে নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সকালে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন গৃহবধূ। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে ইউপি সদস্য আবদুল খালেককে খবর দিলে পরিবারের লোকজনসহ তাঁকে প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে দুপুরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ।
তবে গৃহবধূর স্বামী জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, রাতে তিনি বাড়ি আসেননি। এ ছাড়া স্ত্রীকে তিনি মোবাইলে ফোনও দেননি। এ নির্যাতনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন।
কিন্তু সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানান, নির্যাতনের সঙ্গে তাঁর স্বামী জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করেই হত্যার উদ্দেশ্যে এই নির্যাতন চালানো হয়েছে। এ ঘটনার তিনি সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে জানান, গৃহবধূ নির্যাতনের খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।