গাজীপুরের শ্রীপুরের গোসিঙ্গা ইউনিয়নের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। এতে করে নদীর তীরে সৃষ্টি হচ্ছে গর্তের। এ ছাড়া চুরি হচ্ছে সরকারি সম্পদ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে শুরু হয় শীতলক্ষ্যা তীরের মাটি চুরি। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এ মাটি চুরি করেন। প্রতিদিন রাত ১২টার পর থেকে শুরু হয় মাটি কেটে নেওয়া। রাতেই নদীতীরের এই মাটি ইটভাটার অন্য মাটির সঙ্গে মিশিয়ে ইট তৈরির কাজ শুরু হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, গোসিঙ্গা ইউনিয়নের গোসিঙ্গা বাজারের উত্তর দিকে নদীর তীরের দুটি অংশের মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এতে নদীর তীরের অংশে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মাটি পরিবহনের জন্য নদীর তীর থেকে একটি রাস্তা সরাসরি ইটভাটার দিকে তৈরি করা হয়েছে। রাতে মাটি নিতে শেষ করতে না পেয়ে বেশ কিছু মাটি নদীর তীরে স্টক রয়েছে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের অন্ধকারে এ মাটিগুলো নেওয়া হচ্ছে ওই এলাকার মেসার্স নিদ্রা ব্রিকসে। নদীর তীরের মাটি ইটভাটাটির একপাশে মজুত করে রাখা হয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
তবে নদীর তীরের মাটি চুরির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেসার্স নিদ্রা ব্রিকসের মালিক মো. লোকমান মিয়া। তিনি বলেন, ‘নদীর তীরের মাটি কেটে আনার অভিযোগ মিথ্যা।’ আপনার ভাটায় তো নদীর মাটি মজুত রয়েছে। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এগুলো একটি পুকুর খনন করে আনা হয়েছে। আমার ভাটায় নদীর মাটি ব্যবহার হয় না।’
গোসিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান শাহিন বলেন, ‘নদীর তীর থেকে কোনো অসাধু ব্যক্তি মাটি কেটে বিক্রি করার কোনো ধরনের সুযোগ দেব না। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, ‘নদীর তীর থেকে মাটি চুরি করে কেটে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর তীরের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। নদী সরকারি সম্পদ। নদীকে সঠিকভাবে বাঁচিয়ে রাখতে প্রশাসন সব সময় কাজ করছে। এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।