পাবনার সাঁথিয়ার বিষ্ণুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ এখন পুকুরের পেটে চলে যাচ্ছে। হুমকির মুখে সরকারি সড়ক ও বিদ্যালয় ভবন। খেলার মাঠ পুকুরে যাওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ৮৫ নম্বর বিষ্ণুবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টি একটি পাকা ভবন ও সেমিপাকা ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। বিদ্যালয়টির উত্তর পাশে আগে থেকেই সরকারি একটি পুকুর রয়েছে।
পুকুরটি ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় গত দুই বছর ধরে তা উপজেলা ভূমি অফিস লিজ দেয়। পুকুরটিতে মাছ চাষ ও গবাদিপশু গোসল করানোর কারণে ভেঙে ক্রমেই এর সীমানা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পুকুরটির পূর্ব পাশে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জন্য খেলার মাঠ রয়েছে। যা এখন ক্রমে ছোট হচ্ছে। এতে মাঠের সীমানায় লাগানো বিশাল মেহগনিগাছসহ ভেঙে পুকুরে পড়েছে। পুকুরের পশ্চিম পাশের সরকারি সড়ক পুকুরে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ ছাড়া খেলার মাঠটি ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় যুবক আল আমিন মণ্ডল বলেন, আগে বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হতো। শত শত দর্শক খেলা দেখত। বর্তমান মাঠ ভেঙে পুকুরে যাওয়ায় কোনো ধরনের খেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল মোল্লা বলেন, পুকুরের কারণে যেকোনো মুহূর্তে সড়ক ধসে যেতে পারে। সড়ক, বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেনা পারভীন বলেন, ‘মাছ চাষের কারণে মাটি সরে গিয়ে বিদ্যালয় ভবন হুমকির মুখে পড়েছে। এ ছাড়া করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় স্থানীয়রা গবাদিপশু পুকুরে গোসল করিয়েছে। এতে ধীরে ধীরে পুকুরের পাড় ও বিদ্যালয় মাঠ ভেঙেছে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। উপড়ে পড়া গাছটি সরকারি বিধি অনুযায়ী কাটার চেষ্টা চলছে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল আহমেদ জানান, সরকারি পুকুরে মাছ চাষের ফলে সড়ক ও বিদ্যালয়ের ক্ষতি হলে পুকুরটির লিজ বাতিল করা হবে।