এত কিছুর পরেও হেরে গেলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মামা সালাউদ্দিন আহমেদ। তাঁর মামা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়েছেন। আর সেখানে বিজয়ী হয়েছেন রাব্বানীর ওপর কথিত হামলায় জড়িত আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ মোল্লা।
গত রোববার রাত ১০টার দিকে রাজৈর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাননী খান বেসরকারিভাবে ইশিবপুর ইউপিতে মোশারফ মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। মোশারফ মোল্লা ৩ হাজার ২৬২ ভোট পেয়েছেন। আর রাব্বানীর মামা সালাউদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২ হাজার ৫০৫ ভোট। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৪ জন প্রার্থী।
গত রোববার ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট চলাকালীন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ খবর পেয়ে গোলাম রাব্বানী সেখানে গেলে মোশারফ মোল্লার ছেলে তাঁর ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে গোলাম রাব্বানীকে কুপিয়ে জখম করে বলে দাবি ভুক্তভোগী পক্ষের। এ সময় রাব্বানী ফিরাতে গেলে তার ডান হাতের দুটি আঙুল কেটে যায়। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাম রাব্বানীসহ আহতদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিকদের গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘প্রকাশ্যে ভোট নেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের বাইরে গেলে মোশারফ মোল্লার নির্দেশে তাঁর ছেলে সোহেল মোল্লা আমার ওপর হামলা চালান। এতে আমার কয়েকটি আঙুল কেটে গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করি। আর হার-জিত থাকতেই পারে। এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
আর বিজয়ের পর মোশারফ মোল্লা বলেন, ‘গোলাম রাব্বানী তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করতে গিয়েছিল। পরে সেখানকার উত্তেজিত জনতা তাঁদের ধাওয়া দেয়। সেখান থেকে তাঁরা একটি ঘরে আশ্রয় নিলে আমি ও আমার ছেলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি। আর জনগণ যে আমার সঙ্গে আছে, এ বিজয়ীই তাঁর প্রমাণ।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। কোনো কারচুপি বা জালিয়াতির ঘটনা ঘটেনি।’