সন্তান ও সম্পদ মানুষের জীবনের শোভা। সন্তানের মুখ দেখে সুখ ও স্বস্তি বোধ করে মানুষ। সন্তান আল্লাহ তাআলার বিশেষ নেয়ামত। তাই সন্তান জন্ম নিলে আল্লাহর শোকর আদায় করতে হবে এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশিত সুন্নত পালন করতে হবে। তবেই এ নেয়ামত দুনিয়ার মতো পরকালেও সুসংবাদ বয়ে আনবে।
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরপরই তার ডান কানে আজান ও বাঁ কানে একামত দেওয়া সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ইবনে আলী (রা.)-এর জন্মের দিন তার ডান কানে আজান দিয়েছেন এবং বাঁ কানে একামত দিয়েছেন। (শুআবুল ইমান: ৮২৫৫)
এ বিষয়ে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি আল্লাহর নামের তাকবির ধ্বনি দিয়ে তার কোমল হৃদয়পটে তওহিদের বীজ বপন করা যায়, নিশ্চয়ই সে জীবনের পরতে পরতে তার সুফল ভোগ করবে। তাই ফকিহগণ লিখেছেন, কোনো কারণে তাৎক্ষণিক আজান দিতে না পারলে, পরবর্তী সময়ে যথাসম্ভব দ্রুত এ সুন্নত পালন করে নেওয়া উচিত।
নবজাতকের কানে আজান দেওয়ার তাৎপর্য সম্পর্কে শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেসে দেহলভি (রহ.) লিখেন, ‘আজান ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। আজানের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আজান শুনলে শয়তান পালিয়ে যায়। অন্যদিকে জন্মের প্রথম প্রহরে শয়তান নবজাতককে কষ্ট দেয়। অতএব, শয়তানের আঁচড় থেকে বাঁচাতে নবজাতকের জন্য আজানের প্রয়োজন আছে। আর নবজাতকের ক্ষেত্রে সেটির একমাত্র পদ্ধতি হলো—তার কানে আজানের ধ্বনি শুনিয়ে দেওয়া।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক