ইউরোপের ১২তম বৃহত্তম রাষ্ট্র রোমানিয়া। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ এটি। অর্থনীতির পাশাপাশি শিক্ষার দিক থেকেও দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে রোমানিয়া সরকার।
এ বছর স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে ফুল ফ্রি স্কলারশিপ দিচ্ছে রোমানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য এই বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। ‘রোমানিয়া গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ’-এর আওতায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা রোমানিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় মেডিসিন ও ফার্মেসি ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পাবেন। রোমানিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব বুখারেস্ট, বুখারেস্ট ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিক স্টাডিজ, বাবেস-বলিয়াই ইউনিভার্সিটি, আলেকজান্দ্রা আইওয়ান কুজা ইউনিভার্সিটি, ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অব তিমিশোআরা, ইউনিভার্সিটি পলিটেকনিক অব বুখারেস্ট, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঘিওরঘি আসাচি ইয়াস ইত্যাদি। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের রোমানিয়ান ভাষায় পড়াশোনা করতে হবে। শুধু পিএইচডিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করতে পারবেন। প্রতিটি দেশ থেকে ৮৫ জনকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে।
সুযোগ-সুবিধা
আবেদনের যোগ্যতা
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীদের ‘স্টাডি ইন রোমানিয়া’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোনো দূতাবাস নেই। যার কারণে বৃত্তির আবেদন থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত যাবতীয় কাজ দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাবতীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট দিল্লিতে রোমানিয়ার দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হবে। দিল্লি দূতাবাস থেকে কোনো একাডেমিক ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে হলে প্রথমে সেগুলোকে আমাদের শিক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। অনেক সময় নোটারির প্রয়োজন হতে পারে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৫ মার্চ, ২০২২