ময়মনসিংহ শহরে উত্ত্যক্তে প্রতিবাদ করায় সাথী নামের এক গৃহবধূকে সকালে হুমকির পর বিকেলে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের আকুয়া জুবিলী কোয়ার্টার দক্ষিণপাড়ায় নিজ বসতঘরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং আলামত সংগ্রহ করেছে। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাথীর ছোট বোন শিউলি আক্তার জানান, ‘প্রতিবেশী বাবুলের ভাগ্নে হৃদয় তাঁর বোন সাথীকে মোবাইলে মিসকল দিয়ে উত্ত্যক্ত করত।
এর প্রতিবাদ করায় বৃহস্পতিবার ভোরে বাবুল ও হৃদয় তাদের সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে বাসায় এসে সাথীকে হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছিল। হুমকিদাতারাই তাঁর বোনকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাথীকে বসতঘরে কুপিয়ে হত্যার পর তাঁর মোবাইল ফোনটি নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত সাথী ওই বাসায় তাঁর ১০ বছরের মেয়ে নিরাকে নিয়ে বাস করতেন। ঘটনাস্থলে আসা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই তাইজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার আগে থানায় কোনো জিডি করা হয়েছিল কি না তাঁর জানা নেই।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি বলেন, ওই নারী থানায় এসেছিলেন। তাঁর মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশও পাঠানো হয়; কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘হৃদয়ের সঙ্গে ওই নারীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তাঁকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছিলেন; কিন্তু ওই নারী তাতে কোনোভাবেই রাজি হচ্ছিলেন না। যে কারণে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামি ধরার জন্য পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি অচিরেই তাঁদের ধরতে পারব।’