রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী আজ সশরীরে এইচএসসি পরীক্ষায় বসবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে কমেছে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন বিভাগের আট জেলা থেকে এবার ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসবে। ২০২০ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন। আট জেলার ৭৫৫টি কলেজ থেকে তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেবে।
মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্র ৮০ হাজার ৬৬ জন। আর ছাত্রী ৬৯ হাজার ৮২৩ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৫০ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী। অনিয়মিত ২৭ হাজার ৫৬৭ জন। এ ছাড়া ২ হাজার ৫১৭ জন মানোন্নয়ন এবং ৫৫ জন প্রাইভেট পরীক্ষা দেবে।
এ বছর মানবিক বিভাগ থেকে ৯১ হাজার ৬৫০ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩৯ হাজার ৬১, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ১৯ হাজার ১১০, গার্হস্থ্য অর্থনীতি থেকে ৩৩, ইসলামিক স্টাডিজ থেকে ৩৩ এবং মিউজিক থেকে ২ জন পরীক্ষায় অংশ নেবে। রাজশাহী বিভাগের আট জেলার ১৯৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের হিসাবে, বিভাগের আট জেলায় এইচএসসির নিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ২৮৭। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৮৯ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। বাকি ২৬ হাজার ৬৯৮ জন রেজিস্ট্রেশন করেনি। ফলে এবার আট জেলা থেকে ১৬ দশমিক শূন্য ৬ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
২০২০ সালে ঝরে পড়ার হার ছিল ২২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সে তুলনায় এবার ঝরে পড়ার হার ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে। এবার ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ ছাত্র এবং ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ ছাত্রী ঝরে পড়েছে। গত বছর ছেলেদের ঝরে পড়ার হার ছিল মাত্র ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর ছাত্রীদের ঝরে পড়ার হার ছিল ২৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, পরীক্ষার জন্য কয়েক দিন আগেই তাঁরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পরীক্ষার উপকরণও পৌঁছে গেছে। করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব মেনে পরীক্ষা নেওয়া হবে।