চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মুকুল হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের পিরোজখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জবেদা খাতুন (৪৫) ওই গ্রামের আহসান আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মুকুল তিনটা বিয়ে করেন। মারধর করায় সব স্ত্রী তাঁকে ডিভোর্স দেন। শনিবার বিকেলে মা জবেদার সঙ্গে খাবার খেতে বসেন তিনি। এ সময় কোনো কারণে মায়ের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন মুকুল। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের দাবি, মুকুল মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাও করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর তিন স্ত্রীর ডিভোর্স হয়ে গেছে। একটি সন্তান নিয়ে থাকত মুকুল। শনিবার বিকেলে খাবার খাওয়ার সময় মায়ের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে সে। পরে মুকুলের সন্তান স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। স্থানীয়রা এসে দেখেন, মায়ের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে আর মুকুল পাশের ঘরে চেয়ারে বসে আছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঘর থেকে অভিযুক্ত ছেলে মুকুলকে আটক করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, মুকুল মাদকাসক্ত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তদন্তকাজ চলছে। পরে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আলাউদ্দীন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।