বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় মুদ্রা পাচার কমবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি গতকাল অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বৈঠকে তিনি ভার্চুয়ালি অংশ নেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ বিদেশে বিনিয়োগ করার চেষ্টা করছেন। এটা অন্যায় কিছু নয়। অনুমতি না দিলে এটা হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তার চেয়ে যদি আমরা অফিশিয়ালি অনুমোদন করি, সেটাই ভালো।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিয়ম করে দিয়েছি। এটা সবার জন্য নয়। যাঁরা রপ্তানি করেন, নিজের অ্যাকাউন্টে এক্সপোর্টের বিপরীতে রিটেনশন মানি (জামানতের অর্থ) থাকে, সেখান থেকে তাঁদের এক্সপোর্টের ২০ শতাংশ তাঁরা বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন।’
আগামী অর্থবছর দেশের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৮৯ ইউএস ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, ওই বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বিষয়ে তিনি বলেন, আইএমএফ সব সময় সব দেশের জন্যই কনজারভেটিভ প্রক্ষেপণ করে। গত বছর জিডিপিতে আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২। আর এই সময়ে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়াবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলারে। অর্থমন্ত্রীর ধারণা, আগামী অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে।
গতকাল অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটির তিনটি ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল। কমিটির অনুমোদিত ১৬টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৪ টাকা।