লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মাঠসহকারী ও জুনিয়র কর্মকর্তারা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুহাম্মদ সোলাইমান যোগদানের পর থেকে নতুন মাঠসহকারী ও জুনিয়র কর্মকর্তাদের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ব্যাংকে স্থানান্তরের জন্য বেতন-ভাতা ও লাঞ্চ সাবসিডি উত্তোলনের জন্য ২ হাজার টাকা করে কেটে রেখেছেন।
এ ছাড়া ঋণ বিতরণে তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। তাঁর যোগদানের পর থেকে ঋণ বিতরণে সদস্যদের কাছ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। যেসব সদস্য উৎকোচ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তাঁদের ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এদিকে মুহাম্মদ সোলাইমান নিজকে সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতা এবং এক সাংসদের ভাতিজা দাবি করেন। এ ছাড়া অফিসের সব কর্মচারীর কাছ থেকে নিজের জন্মদিন পালনে টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমানের কাছে এসব অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের এক মাঠসহকারী বলেন, ‘শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমান যোগদানের পর থেকে অফিসের সব কর্মচারীকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে টাকা আদায় করছেন। ঋণ বিতরণে টাকা না দিলে ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এতে মাঠসহকারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। উপায়ান্ত না পেয়ে অফিসের সব স্টাফ তাঁর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বাধ্য হই।’
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চক্রবর্তী বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
ইউএনও কামরুজ্জামান বলেন, ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ সোলাইমানের বিষয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি। এই বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’