ভোটের আগে মেয়র প্রার্থীরা বরাবরই নানা প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সংকটের সমাধান তেমন হয় না। আবর্জনা, জলজট ও যানজটে ভীষণভাবে ভুগছেন গাজীপুর নগরবাসী। এমনই এক পরিস্থিতিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে তৃতীয়বারের মতো ভোট হচ্ছে ২৫ মে। গত কয়েক দিন গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সীমাহীন দুর্ভোগ আর অভিযোগ শোনা গেছে। নগরবাসীর প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনে এমন কেউ মেয়র হবেন, যিনি সমস্যার সমাধানে আন্তরিক হবেন।
সাধারণ মানুষ বলছেন, নগরীর অনেক এলাকায় আবর্জনার উৎকট গন্ধ। অধিকাংশ রাস্তাঘাট ভাঙা, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, অপ্রতুল ট্রাফিক ব্যবস্থা। আছে মশার উৎপাত। মহানগরীর কোথাও নাগরিক সুবিধার তেমন কোনো চিহ্ন নেই। সড়কবাতি না থাকায় রাতের বেলা ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয় পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা। সেবার মানে কোনো উন্নতি না হলেও কর বেড়েছে।
গত ১০ বছরেও এই নগরীতে গড়ে তোলা যায়নি সুষ্ঠু বর্জ্য অপসারণের কোনো ব্যবস্থাপনা। স্থায়ী কোনো ডাম্পিং পয়েন্ট নেই। এদিকে অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। অনেক এলাকায় তো ড্রেনই নেই। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
গাজীপুর নাগরিক অধিকার ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, বিগত বছরগুলোয় মেয়রদের জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতার ঘাটতি ছিল।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আশা করি, আগামী নির্বাচনে নগরবাসী আমাকে নির্বাচিত করে নাগরিক প্রত্যাশা পূরণের সুযোগ দেবেন।’