নীলফামারীতে খেতে বৃষ্টির পানি জমায় কৃষক অপরিপক্ব সরিষা ঘরে তুলে নিচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগের দাবি অধিকাংশ খেতের সরিষা পরিপক্ব হয়ে গেছে। তাই ক্ষতির তেমন আশঙ্কা নেই।
ডিমলা সদর ইউনিয়নের সরিষাচাষি সেলিম আহমেদ জানান, এ বছর তিনি ৯০ শতাংশ জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। বৃষ্টির কারণে সরিষার গাছ নুয়ে পড়েছে। জমিতে পানি জমে থাকায় পচন ধরার আগেই বাধ্য হয়ে অপরিপক্ব সরিষা কেটে ঘরে তুলছেন। এতে বিঘাপ্রতি এক মণ ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি।
ডোমারের বোড়াগাড়ী এলাকার সরিষাচাষি এমদাদুল হক বলেন, খেতের সরিষা পাকতে আরও কিছুদিন সময় লাগত। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। তাই দ্রুত ঘরে তুলতে হচ্ছে। ফলে লাভ তো দূরের কথা, উল্টো লোকসান গুনতে হবে।’
সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, মাঘ মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে সরিষা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে পানি জমেছিল। জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে সরিষা ঘরে তোলার সময় হয়েছে, তাই তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, এবার জেলায় ৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।