কক্সবাজারের উখিয়ার শরণার্থীশিবির থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে অপহৃত হন রোহিঙ্গা সাব মাঝি সৈয়দ আমীন। প্রায় ১১ মাস পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গত শনিবার ক্যাম্প-১৪-এর সাবেক মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝে খুঁড়ে সাব মাঝি সৈয়দ আমীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় হাকিমপাড়া ই/৩ ব্লকে মাঝি ও ভলান্টিয়ারদের সমন্বয়ে ব্লক রেড পরিচালনা করে তিনজন এফডিএমএন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—১৪ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের মো. ইসলাম (২২) ও হাকিমপাড়ার আবদুল মোন্নাফ (২৬) ও মো. ইলিয়াস (২৮)।
এপিবিএন-৮-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসাইন গত শনিবার রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আটকদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের সি/৪ ব্লকের সাব মাঝি সৈয়দ আমীনকে (৪০) অপহরণ করে ১৪ নম্বর শিবিরে নেওয়া হয়। অপহরণের পর তাঁর পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৮০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে শুক্কুরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন মিলে সৈয়দ আমীনকে হত্যা করেন। এরপর ক্যাম্প-১৪-এর সাবেক মাঝি ইয়াকুবের পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখেন।
এসব তথ্য পেয়ে গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ক্যাম্প-১৪-এর সিআইসিসহ থানা-পুলিশের সদস্যরা ইয়াকুব মাঝির ঘর থেকে লাশ উত্তোলন করেন।
সৈয়দ আমীনের স্ত্রী হাসান বশরী স্বামীর গায়ে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে তাঁকে শনাক্ত করেন।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমিনের লাশ উত্তোলনের পর গত শনিবার রাতে ময়নাতদন্তের জন্য উখিয়া থানা-পুলিশের মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রী হাসান বশর লাশের পরনে থাকা কাপড়, বেল্ট ও মাথার চুল দেখে লাশ শনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।