নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোনো প্রধানশিক্ষক। এ ছাড়া পাকা ভবন না থাকায় ভাঙা বেড়ার চাটিঘরে দুটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটছে। এতে ঝড়-বৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে হয় এ দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজানান মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি। কিছুদিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তখন সংকট কেটে যাবে। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৯টি। এর মধ্যে একটি কল্যাণ ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত। অন্য ১৬টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকের মোট পদ শূন্য রয়েছে ২৩টি। এর মধ্যে উত্তরা আবাসন ও বাঙ্গালীপুর হাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন।
বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হামিম আরশাদ জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৬৬ জন। শিক্ষকের পদ পাঁচটি। এর মধ্যে একজন পিটিআই ট্রেনিং করছেন।
শিশু মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক হাসনা বানু বলেন, তিন বছর ধরে প্রধানশিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।