পোশাক সভ্যতার পরিচয় বহন করে। ইসলামে পোশাক পরে সতর ঢাকা ফরজ। মানানসই পোশাক মানুষের রুচিবোধের পরিচায়ক এবং সৌন্দর্যের প্রতীক। ইসলাম পোশাক পরার সুন্দর নীতিমালা দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) পুরুষদের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। তা অহংকারের পরিচায়ক। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের পরিধেয় কাপড় অহংকার করে ঝুলিয়ে হিঁচড়িয়ে চলবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘টাখনুর যে অংশ পরিধেয় কাপড়ে ঢাকা থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে।’
ফুলহাতা জামা পরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ। মহানবী (সা.)-এর জামার হাতা কবজি পর্যন্ত লম্বা ছিল। তিনি সাদা রঙের কাপড় বেশি পছন্দ করতেন। তিনি বলেছেন, ‘সাদা রঙের কাপড় উত্তম। তোমরা তাই পরবে এবং সাদা কাপড়েই মৃতদের কাফন দেবে।’
পুরুষদের জন্য মাথায় টুপি এবং এর ওপর পাগড়ি পরাও সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সা.) অহংকার ও অপব্যয় থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘খাও, পান কর, আল্লাহর পথে দান করো এবং পোশাক পরো। কিন্তু তা যেন বাড়াবাড়ি পর্যায়ের না হয় এবং তাতে যেন অহংকার কিংবা অপব্যয়ের মিশ্রণ না ঘটে।’
স্বর্ণালংকার ও রেশমি কাপড় পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিক চাকচিক্যপূর্ণ পোশাক পরতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়ার সুনাম বা অহংকার প্রকাশের জন্য পোশাক পরবে, মহান আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন অপমানের পোশাক পরাবেন।’
পোশাক পরার সময় ডান হাত ও ডান পা আগে পরা সুন্নত। আর খোলার সময় বাঁ হাত ও বাঁ পা আগে খোলা সুন্নত। শুধু এক পায়ে জুতা পরা নিষেধ। উভয় পায়েই পরতে হবে অথবা উভয় পায়ের জুতা খুলে রাখতে হবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক