ইসরায়েল থেকে হোয়াটসঅ্যাপসহ মোবাইল ফোনে নজরদারির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বাংলাদেশ কিনেছে বলে ওই দেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি নথি ও আন্তর্জাতিক রপ্তানি রেকর্ডের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, দেশটির প্রযুক্তি শাখার সাবেক কমান্ডার টাল দিলিয়ান পরিচালিত কোম্পানি থেকে গত বছর এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে এসেছে।
তবে ঢাকার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নাজুক থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তিটি কেনা হয়েছে, যা মূলত মুঠোফোন ও ইন্টারনেটে যোগাযোগের ওপর নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) কাছে প্রযুক্তিটি বিক্রি করেছে সাইপ্রাসে নিবন্ধিত প্যাসিটোরা নামের একটি কোম্পানি; যা গত বছরের জুনে সুইজারল্যান্ড থেকে ঢাকায় পৌঁছায়।
প্যাসিটোরা কোম্পানির পূর্ব নাম ছিল উইস্পেয়ার। তখন মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিলিয়ান প্রযুক্তির সক্ষমতা নিয়ে মতামত দিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, প্রযুক্তিটির সিস্টেমে নজরদারি ও ট্র্যাকিং সফটওয়্যার রয়েছে; যেটি সেলুলার ও ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মুঠোফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, ফেসবুক চ্যাট, কল প্রভৃতি সংগ্রহ করতে পারে এটি। এমনকি এর মাধ্যমে কম্পিউটার ও ফোনে আড়ি পাতার জন্য স্পাইওয়্যারও প্রবেশ করিয়ে দেওয়া যায়।
হারেৎজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে ইসরায়েলি কোম্পানি সেলেব্রাইট থেকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোবাইল ফোনে আড়ি পাতার সরঞ্জাম কিনেছিল।