দেশে এখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ চলছে। এ রোগে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। ভয়াবহ রূপ ধারণ করা এই ডেঙ্গু ভাইরাসের মূল কারণ এডিস মশা। ছোট এই কীট দুর্বিষহ করে তুলেছে মানুষের জীবন।
কীটতত্ত্ববিদদের তথ্যমতে, পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাত্র ১০০ প্রজাতি রোগ ছড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ২০টির মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ে মশা থেকেই। সেগুলোর মধ্যে কিছু রোগ প্রাণঘাতী। বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশার খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকাতেই এর ১৪টি প্রজাতির মশার বিচরণ রয়েছে। বাংলাদেশে মশাবাহিত পাঁচটি রোগের বিস্তার ঘটেছে—ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া এবং জাপানিজ এনসেফালাইটিস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন—সিডিসি’ মশাকে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিডিসি বলছে, বিশ্বে বছরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে। বেঁচে থাকতে এসব রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে আরও কয়েক কোটি মানুষ।
মশাবাহিত রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতিবছর ২০ আগস্ট পালিত হয় ‘বিশ্ব মশা দিবস’। ১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. ডোনাল্ড রস আবিষ্কার করেন, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ছড়ায়। সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত স্মরণে ২০ আগস্ট মশা দিবস হিসেবে পালিত হয়। বাংলাদেশ দিবসটি এমন সময় পালিত হচ্ছে, যখন মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এই অবস্থায় মশা নির্মূলই দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হওয়া উচিত বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদেরা।