পীরগঞ্জে মাটি চাপা দেওয়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নের পালগড় গ্রামে অগভীর নলকূপের ঘর থেকে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম নাইফুল ইসলাম। সে পালগড় গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে ও শাল্টি সমস দিঘী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নাইফুলকে প্রতিবেশী এক কিশোর (১৪) গত শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তখন থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে ওই কিশোর জানায়, তারা দুজন একসঙ্গে স্থানীয় কলোনি বাজারে গিয়েছিল। বাজার থেকে নাইফুল কোথায় গেছে তা সে জানে না।
কিশোরের কথাবার্তা ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে নাইফুলের পরিবার পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে শিশুটিকে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ অগভীর নলকূপ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নাইফুলের লাশ উদ্ধার করে। জানা গেছে, ওই শিশু ও কিশোর দুই বন্ধু ছিল। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় তারা স্থানীয় ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করত। ঘটনার দিন রাতে কিশোরটি তাদের নলকূপের ঘরে নাইফুলকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গভীর রাত পর্যন্ত ডান্ডির (পলিথিনে করে আঠা সেবন) নেশা করে। একপর্যায়ে নাইফুল অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রেখেই সে বাড়ি চলে আসে।
পরদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত নাইফুলকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাকে জাগানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে সে নাইফুলের গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে নলকূপ ঘরের মেঝে খুঁড়ে মাটির নিচে লাশ পুঁতে রাখে। এ ব্যাপারে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি, ডি-সার্কেল) কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার কিশোর আদালতে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।