চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ নিতে প্রার্থীদের অতিরিক্ত গাড়ি ও লোকজনের কারণে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে এ রাস্তায় চলাচলকারী এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের ৬৬ জন চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যসহ ৫৫০ জন প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা মোড় থেকে রশুনীয়া স্কুল, উপজেলা পরিষদ এলাকা ও গোয়ালবাড়ি মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তায় যানজট ছিল। যানজটে রোগী, সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন। বেশ কিছু পরীক্ষার্থী কুচিয়ামোড়া কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়া ও ইছাপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজে আসার সময় ভোগান্তিতে পড়েন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র থানা থেকে নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন কুচিয়ামোড়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।
সরকারি ইছাপুরা বিকেবি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ শামসুল হক হাওলাদার বলেন, আজ (মঙ্গলবার) উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাই গোয়ালবাড়ী মোড় থেকে রশুনীয়া পর্যন্ত সারা দিন যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। ইছাপুরা কলেজ থেকে ৪৪১ জন কুচিয়ামোড়া কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছে। কুচিয়োমোড়া কলেজ থেকে ২১৯ জন আমাদের কলেজে এসে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা সিরাজদিখান থেকে দীর্ঘ পথ হেঁটে রশুনীয়া স্কুল পর্যন্ত গিয়ে আবার অন্য গাড়িতে উঠেছে। এদিকে আসা পরীক্ষার্থীরাও পড়েছে একই অবস্থায়। কুচিয়ামোড়া কলেজের শিক্ষকেরা থানায় প্রশ্নপত্র নিতে এসে পড়তে হয় এ সমস্যায়। তবে ঠিক সময় পরীক্ষা শুরু হয়।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, ‘প্রতীক বরাদ্দ নিতে প্রত্যেক প্রার্থী অতিরিক্ত গাড়ি লোকজন নিয়ে আসেন। এখানকার রাস্তা সরু, সিরাজদিখান বাজারের ব্রিজে একটি গাড়ি যেতে হয়, তাই যানজটের সৃষ্টি হয়। থানার সব পুলিশ সদস্য গিয়ে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।’