কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা গ্রামে বন্যায় ভেঙে যাওয়া রাস্তার ওপর স্বেচ্ছাশ্রমে কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসী। গত মঙ্গলবার নিজেদের শ্রম ও অর্থায়নে রাস্তার ভাঙা অংশের ওপর ৭৫ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়।
ওই গ্রামের জহুরুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও আল-আমিন বলেন, কয়েক বছর আগে বন্যায় পানির স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যায়। ফলে হরিণধরা, দাঁতভাঙ্গা, ধর্মপুর, ছাটকড়াইবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। কোনোপ্রকার ভ্যান, রিকশা, সাইকেল, মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারেনি। যাতায়াত করতে হতো কলার ভেলায় চড়ে কিংবা ছোট্ট নৌকায় করে। এতে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটত।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি কোনো প্রকার সহায়তা করেনি। অবশেষে আমরা গ্রামবাসী মিলে উদ্যোগ নিলাম সাঁকো নির্মাণ করি।’
এ বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ‘ভাঙ্গা রাস্তায় সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় প্রস্তাব দিয়েছি তা গৃহীত হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু গ্রামবাসী সে আশায় না থেকে তাঁদের নিজেদের উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে পারাপারের জন্য কাঠের সাঁকো নির্মাণ করেছেন।’