মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও সড়কে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাতির ভয়ে রীতিমতো আতঙ্কে থাকতে হয় পথচারী ও ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও সড়কে ঘুরে বেড়াচ্ছে চারটি হাতি। এসব হাতির ওপর বসে রয়েছেন চারজন মাহুত। হাতিগুলো শহীদনগর বাজারের দুই পাশের দোকান থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছে। এ ছাড়া সড়কে গাড়ির গতিরোধ করেও টাকা নিচ্ছে। হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুতেরা এভাবে টাকা নিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতি মাসে কয়েকদিন এভাবে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়। আমরা ভয়ে টাকা দিই। মাহুতেরা নানা রকমের শব্দ করে হাতিগুলো পরিচালিত করেন আর হাতি শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানদারের দিকে। কেউ স্বেচ্ছায়, আবার কেউ ভয়ে টাকা দেন। পরে চাঁদার টাকা হাতি শুঁড় দিয়ে তার মাহুতকে দেয়।
শহীদনগর বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল মিয়া বলেন, বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাতি নিয়ে এসে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। হাতি দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রকাশ্যে সারা দিন চাঁদা তোলা হয়। কেউ কোনো প্রতিবাদ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
মাইক্রোবাসচালক জামাল মিয়া, সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক সাহেদ মিয়া বলেন, ‘সড়কের মাঝখানে হাতি দাঁড় করিয়ে চাঁদা তোলা হচ্ছে। আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে টাকা দাবি করে, পরে আমরা ৪০ টাকা দিয়ে এসেছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাহুত বলেন, ‘আমরা হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করি না। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন স্বেচ্ছায় যা দেয়, তাই আমরা নিই।’
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্চয় চক্রবর্তী বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।