অভাব-অনটনের সংসার। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমিতে বানানো হয়েছিল সরকারি ঘর। কিন্তু হঠাৎ আড়িয়াল খাঁ নদীর ভাঙনে ঘরসহ জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন রানু বেগম ও হোসেন হাওলাদার দম্পতি। বর্তমানে এই বৃদ্ধ দম্পতি আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে আলীমাবাদ এলাকায় একটি ছাপড়া ঘর তুলে বাস করছেন।
ভাঙনে ওই ছাপরায় কত দিন থাকতে পারবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। অভাব ঘুচাতে ছাগল পালন শুরু করেছিলেন। ঘর না থাকায় ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রানু বেগম।
রানু বেগম জানান, নদীর পাড়ে স্বামীর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬ শতাংশ জমি ছিল তাঁদের। স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় সেখানে সরকারি ঘর তোলা হয়েছিল। বয়সের ভারে ন্যুব্জ স্বামী কাজ করতে না পারায় হাল ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। পরে সংসার চালাতে ছাগল পালন শুরু করেন।
রানু বেগম আরও বলেন, ‘গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে হঠাৎ নদী ভাঙনে ঘর ও ভিটেমাটি বিলীন হয়ে যায়।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোবারক হোসেন সিকদার বলেন, তাঁদের জমিসহ একটি ঘর দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী জানান, প্রকৃত ভূমিহীন হয়ে থাকলে তাঁদের জন্য জমি ও ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।