কাতারের দোহা এখন উৎসবের নগরী। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা ধীরে ধীরে আসতে শুরু করেছেন মরুর দেশে। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কাতারের বিভিন্ন শহরে আলাদা আবহে চলছে নানা রকম আয়োজন। তবে কোন কোন আয়োজনে প্রবেশাধিকার সবার জন্য উন্মুক্ত, তা নিয়ে এখনো সংশয় অনেকের মনে।
এদিকে কাতারবাসীর দাবি, খেলার টিকিট কিংবা হায়া কার্ড না থাকলেও যাঁদের কাছে কাতারি আইডি আছে, তাঁদের যেন সব অনুষ্ঠানস্থলে যেতে দেওয়া হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটি সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুধু তিন জায়গায় হায়া কার্ড ছাড়া যাওয়া যাবে না। এই তিনটি জায়গা হলো আলবিদা পার্ক, যেটি এই বিশ্বকাপের মূল ফ্যান জোন।
বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হয়েছে ৯৭৪ স্টেডিয়াম-সংলগ্ন সাগরসৈকত। আরেকটি নবনির্মিত জায়গার নাম ওল্ড দোহা পোর্ট এলাকা। এই তিন জায়গা ছাড়া আর কোথাও কোনো উৎসবে যেতে হায়া কার্ড থাকা লাগবে না; বরং সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকদের উদ্দেশে ফিফা বিবৃতি দিয়েছে এই বলে যে ‘২৯ দিনের ফুটবল, সংগীত, সংস্কৃতি ও জীবনযাপনের অংশ হতে বিশ্বের সব ফুটবলপ্রেমী তাকিয়ে বিশ্বকাপের দিকে। এটি আসলে সত্যিকারের ফুটবল উৎসব।’
কোন ফ্যান জোনে দর্শকেরা কীভাবে যাবেন, সেটির কিছু নির্দেশনাও এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ফ্যান জোনের নিকটবর্তী মেট্রো স্টেশনের নির্দেশিকাও নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ক্রীড়াপ্রেমীরা বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রীড়াযজ্ঞে আসতে শুরু করেছেন কাতারে। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মরুর দেশে হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপ নানা দিক থেকেই হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রম। এই টুর্নামেন্টের পর্দা উঠতে যাচ্ছে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়। কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে বর্ণিল এই ক্রীড়া উৎসবের।