দেশ চালানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ নিজেদের হাতে নেই বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কর আদায় কমায় ও বিদেশি ঋণ বাড়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে
পরিণত হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদে গত মঙ্গলবার দেশটির জাতীয় রাজস্ব বিভাগের (এফবিআর) ‘ট্র্যাক অ্যান্ড ট্র্যাস সিস্টেম বা টিটিএসের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব মন্তব্য করেন।
ইমরান খান বলেন, ‘বিগত বছরগুলোয় আমরা প্রচুর ঋণ করেছি। এসব ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়ে গেছে। ফলে বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনার মতো আমাদের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই।’ বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে মানুষের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা এবং স্থানীয় সম্পদ তৈরিতে ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, গত সোমবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে শিগগির এক শ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্যাকেজের জন্য আইএমএফ ধাপে ধাপে ছয় শ কোটি ডলার ঋণ দেবে। সোমবারের এক শ কোটি ডলার এরই প্রথম ধাপ।
চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিশেষত প্রতিবেশীদের অনুসরণ করে পাকিস্তানের জনগণকেও পেট্রলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতের অনুরোধ করেছেন ইমরান খান। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতে পেট্রলের মূল্যের উল্লেখ করে নিজেদের দাম উভয় দেশের তুলনায় কম বলে দাবি করেন। দেশটিতে প্রতি লিটার পেট্রল বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ পাকিস্তানি রুপিতে।