মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের শতাধিক পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগ নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় তাঁদের। স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত সাঁকোটি প্রতিবছর মেরামত করেন নিজেরাই। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান চান স্থানীয় বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার সকালে সরেজমিন উপজেলার বিক্রমপুর কেবি সরকারি ডিগ্রি কলেজের পেছনের খালটির ওপর স্থায়ী কোনো সেতু না থাকায় নিজেদের নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দুর্ভোগ কমাতে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
ইছাপুরা গ্রামের বাসিন্দা আয়ুব জানান, এক-দুই দিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। বর্ষায় এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে। সাঁকো মেরামতে সরকারি কোনো অনুদানও পাওয়া যায় না।
ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বাসুদেব সিংহ জানান, প্রতিবছর এলাকার বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। চাঁদা তুলে কেনেন বাঁশ-খুঁটি। জনপ্রতিনিধিরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও পরে আর তা বাস্তবায়ন হয় না বলে অভিযোগ তাঁদের।
অনেকে ওই এলাকাতে জায়গা কিনে বাসা ভাড়া দেওয়ার জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করলেও বাঁশের সাঁকোর জন্য তাঁরা ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না।
ভুক্তভোগী অখিল উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘একটি সাঁকো এক বর্ষা পার করার পর আর ব্যবহার করা যায় না। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে আমরা বেশ কয়েকবার ধরনা দিলেও শুধু পেয়েছি আশ্বাস।’
ইছাপুরা ইউপির চেয়ারম্যান মো. সুমন মিয়া বলেন, ‘এটি আমার নিজের গ্রাম। স্থায়ী সেতু না থাকায় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। আমি এবার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। শপথ নেওয়ার পরই এই খালের ওপর সেতুটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে এখানে একটি সেতু করে দেবে।