হোমনায় সর্দি-জ্বর ও কাশি নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। রোগীদের বেশির ভাগই শিশু বলে জানিয়েছেন চিকৎসকেরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স খাদিজা আক্তার জানান, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে ৫১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। শয্যা না থাকায় একজন রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই জ্বর ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদ উল্লাহ জানান, গতকাল মঙ্গলবার তিনি অর্ধশতাধিক রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই জ্বর ও ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগছেন। যার বেশির ভাগই শিশু।
উপজেলা সদরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে গত শুক্রবার চিকিৎসা সেবা দেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. জালাল হোসেন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি আনুমানিক ৮০ জন শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এর মধ্যে মধ্যে ৬০ জনের বেশি শিশুই জ্বর ঠান্ডা ও কাশিতে আক্রান্ত ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা হোমনা সদরের বাসিন্দা গৃহবধূ শাহিনা আক্তার বলেন, তাঁর সাড়ে সাত মাস বয়সী শিশু জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত। তাই তিনি চিকিৎসকের কাছে এসেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব টেকনোলজিস্ট আবদুল্লাহ মো. কাফি বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে জ্বরের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে দৈনিক গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগীর করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পিসিআর পরীক্ষায় প্রায় সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সালাম সিকদার বলেন, ঋতু পরিবর্তনের প্রভাবে তাঁরা মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।