হোম > ছাপা সংস্করণ

আইনি জটিলতায় মেলে না ক্ষতিপূরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে নৌ ও সড়কপথের দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পান না। আইনি জটিলতা ও মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে তাঁরা ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হন। এর ফলে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তের পরিবার মামলা করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নৌপথ ও সড়কপথে অবহেলাজনিত মৃত্যু: ক্ষতিপূরণ ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

আইনি দীর্ঘসূত্রতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে আইনজীবী জীবনানন্দ চন্দ জয়ন্ত বলেন, ২০০৩ সালে চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবে নিহত হন ১১০ জন। নিখোঁজ হন ১৯৯ জন। ২০০৪ সালে এ ঘটনায় মামলা করে ব্লাস্ট। ২০১৬ সালে মামলার রায় ঘোষণা করেন নিম্ন আদালত। ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিবাদীপক্ষ ২০১৬ সালে রিভিশন আবেদন করে। এর শুনানি শেষ হয় ২০১৭ সালে। হাইকোর্টে নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে। কিন্তু দেড় যুগেও ভুক্তভোগীরা ক্ষতিপূরণ পাননি।

‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্র আন্দোলনের ফলে যে আইন হয়েছে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইনটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। তা কার্যকর হয়নি। আইনের বাস্তবায়নের জন্য যে কার্যক্রম দরকার, তা-ও নেওয়া হয়নি। সেটা এখন আবার সংশোধনের দাবি জানানো হচ্ছে।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি, তাহলে আইনের এই অবস্থা কেন। রাষ্ট্র চাইলে আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা দুই মিনিটের ব্যাপার।’

বিচারপতি নিজামুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাংবাদিক জ ই মামুন প্রমুখ।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ