হোম > ছাপা সংস্করণ

নিভৃতে ইবাদতের ফজিলত

মুফতি আবু দারদা

ইসলামের ফরজ বিধানগুলো পালনের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা অবলম্বনের সুযোগ নেই। বরং তা প্রকাশ করেই আদায় করতে হয়। যেমন নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি। এর বাইরে অন্য নফল ইবাদতগুলো যথাসম্ভব নিভৃতে সম্পাদন করা উত্তম। যেমন দোয়া করা, তাসবিহ ও জিকির করা, নফল নামাজ পড়া, নফল রোজা রাখা, নফল সদকা করা ইত্যাদি।

নিভৃতে ইবাদতকারীর জন্য অনেক ফজিলতের কথা হাদিসে বিবৃত হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যেদিন আল্লাহর রহমতের ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন সাত শ্রেণির ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা তাঁর ছায়ায় আশ্রয় দেবেন।’ সেই তালিকায় ৬ নম্বরে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এতই গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত যা খরচ করে, তা বাঁ হাত জানে না।’ (বুখারি)

নফল ইবাদত ফরজের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। তাই প্রকাশ্য-গোপনে নফল ইবাদত করলে তা পরকালের কঠিন সময়ে কাজে আসবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। যদি সে সঠিক হিসাব দিতে পারে তবে কৃতকার্য হয়ে যাবে। আর যদি ব্যর্থ হয় তবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়ে যাবে। যদি তার ফরজগুলোর মধ্যে কোনো ঘাটতি থাকে তবে আল্লাহ তাআলা বলবেন, দেখো, আমার বান্দার কোনো নফল আছে কি না? যদি থাকে তবে তা দিয়ে তার ফরজের ঘাটতি পূরণ করা হবে। এরপর একইভাবে তার অন্যান্য আমলের হিসাব নেওয়া হবে।’ (আবু দাউদ)

গোপন ইবাদত অন্তরের পবিত্রতা, নিয়তের শুদ্ধতা, ইবাদতে সত্যবাদিতা এবং আল্লাহভীতি তৈরি করে। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। অবশ্য গোপন ইবাদত প্রকাশ করলে যদি সেই কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি হয় বা তা থেকে মানুষ শেখার সুযোগ পায়, তবে তা প্রকাশ করা দোষের নয়। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ