বগুড়ার সারিয়াকান্দির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র সদরের দীঘলকান্দি প্রেম যমুনার ঘাট। গোবরের ঘুঁটে শুকানো, ধান সেদ্ধ, জ্বালানি স্তূপ করে রাখা প্রভৃতি কারণে কেন্দ্রটি তার সৌন্দর্য হারিয়েছে। পর্যটকেরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন এ কেন্দ্র থেকে।
সারিয়াকান্দিতে বিভিন্ন সময় নদী শাসনের জন্য বিভিন্ন স্পার ও হার্ড পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হলো সারিয়াকান্দি পৌরসভার কালিতলা গ্রোয়েন বাঁধ, সদরের প্রেম যমুনার ঘাট, হাটশেরপুরের হাসনা পাড়া ও বালাইল স্পার, কুতুবপুরের দেবডাঙা স্পার।
এগুলোর মধ্যে দীঘলকান্দি হার্ড পয়েন্টটি সিঁড়ি করে নির্মাণ করার জন্য এটি অত্যাধিক দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। ফলে এখানে প্রতিনিয়ত শত শত এবং বর্ষাকালে হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা পছন্দের এই স্পটটির নামকরণ করে প্রেম যমুনার ঘাট; যা উপজেলার মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্পট হয়ে ওঠে।
বর্তমানে স্পাটটির প্রায় সবটুকু এলাকাতেই স্থানীয় গ্রামের নারীরা গরুর গোবরের ঘুঁটে তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। ফলে পুরো পর্যটন এলাকাকে গোবরের ঘুঁটে তৈরির চাতাল বলে মনে হয়।
অপর দিকে স্থানীয়রা স্পটটিতেই আমন ধানের মাড়াইয়ের কাজ করছেন। ধান সেদ্ধ করার সময় স্পারের কেস্টলে কালো কালি পড়ে এর সৌন্দর্য হারাচ্ছে। যেখানে সেখানে ছাই ফেলে এর পরিবেশ একেবারেই নষ্টের পথে। পাশাপাশি স্পটটির বেশ কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানি স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় অটোভ্যানের চালক ইয়াছিন আলী বলেন, ‘প্রেম যমুনার ঘাট আগে অনেক পরিপাটি ছিল। তখন অনেক মানুষ আমার অটোভ্যানে করে স্পটটি দেখার জন্য আসতেন। এখন আর আগের মতো লোকজন আসেন না। ফলে রোজগারও আগের মতো হচ্ছে না।’
স্থানীয় বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, ‘বহুদিন আগে ফায়ার সার্ভিস আসে একবার পরিষ্কার করে দিয়ে গেছিল। দুই-এক দিন পরথাকেই আবার লোকজন গোবর নাড়ে দেওয়া শুরু করে এবং জ্বালানি দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে ফালে দেয়।’
স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাফি মণ্ডল বলেন, ‘ইতিপূর্বে কয়েকবার স্পটটি পরিষ্কার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, স্পটটি সরেজমিন পরিদর্শন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।