বরিশালের উজিরপুরে গুঠিয়ায় তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে থাকছে না নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীক। বড় দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক না থাকায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে নেই নির্বাচনী আমেজ।
আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছত্তার মোল্লা তথ্য গোপন করায় নির্বাচন কমিশন তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। সে রায় হাইকোর্টেও বহাল থাকায় আগামী ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে থাকছে না নৌকা প্রতীক।
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। গুঠিয়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর বাড়ি। বিএনপি প্রার্থী না দিলেও ওই ইউনিয়নের বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
গুঠিয়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আওরঙ্গজেব হাওলাদার, আনারস প্রতীক নিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ইজাজুল হক সজিব সরদার। এ ছাড়া হাতপাখার প্রার্থী মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন এবং ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির উদ্দীন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছির উদ্দীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য আবেদন করেন বরিশাল জেলা আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে। এর প্রেক্ষিতে কাগজ যাচাই-বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তাঁরা এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা হাফ ছেড়ে বেচেছেন। না হলে বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এনামুল হক শাহীন জানান, দলের ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুনছে গুঠিয়া ইউনিয়ন তৃণমূল আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আওরঙ্গজেব হাওলাদার বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তবে দলের প্রার্থী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হতে পারে সে আশঙ্কা থেকে প্রার্থী হয়েছি। যদি তার মনোনয়ন বৈধ থাকত তাহলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতাম। এখন দলের সম্মান রক্ষার্থে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে লড়ব’।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মাজেদ তালুকদার মন্নান মাস্টার জানান, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী মাঠে থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’