বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক ইমরান শরীফ জাপানে থাকা তাঁর ছোট মেয়েকে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট করেছেন। এর আগে বড় ও মেজো মেয়েকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছিলেন ইমরান শরীফের স্ত্রী জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো। রাজধানীর গুলশানের একটি ভাড়া বাসায় দিন-রাত পর্যায়ক্রমে সন্তানদের দেখাশোনা করছেন ইমরান শরীফ ও তাঁর স্ত্রী জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো।
গতকাল বৃহস্পিতবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি
মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে ইমরান শরীফের আইনজীবী ফাউজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে চায়, আমরা আবেদন করেছি। এ সময় আদালত বলেন, আমাদের তো কোনো সমস্যা নেই। একসঙ্গে থাকতে চাইলে অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড হতে পারে। তা ছাড়া এটা তো পারস্পরিক সমঝোতার বিষয়।
এরিকো নাকানোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এরই মধ্যে এরিকো নাকানোর চাকরি চলে গেছে। আমরা একটি সম্পূরক আবেদন করেছি। এ সময় ফাউজিয়া করিম বলেন, আমাদের সময় লাগবে। পরে আদালত আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এরিকোর আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক ইমরান শরীফ জাপানি আইনানুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁরা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইমরান বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। পরে শ্রীলঙ্কা হয়ে এরিকো বাংলাদেশে আসেন ১৮ জুলাই। এরপর দুই মেয়েকে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আদালত গুলশানে একটি ভাড়া বাসায় সবাইকে আলাদা কক্ষে বসবাসের অনুমতি দেন। পাশাপাশি সমঝোতা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু উভয় পক্ষের আইনজীবী কয়েকবার বৈঠক করেও এখনো সমঝোতায় আসতে পারেননি।