খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘একটি দল বলেছিল করোনায় ২ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে, আমি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে এটি সম্ভব হয়েছে। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ আমরা গড়েছি। এখন পুষ্টিযুক্ত খাবার নিয়ে কাজ করছি।’ গতকাল নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) ক্যাম্পাসে আধুনিক ও বৃহৎ আকারের খাদ্যগুদাম নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে আটটি সাইলো নির্মাণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। আমরা যে যার যার জায়গা থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে পারলে ২০৩১ সালের মধ্যেই সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ দেখতে পাব।
মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আমরা সবাই যেন মানসম্মত, ভেজাল বিহীন খাদ্য খেতে পারি সেই দিকে সচেতন হতে হবে। কেউ যেন খাদ্যে ভেজাল দিতে না পারে, পচাবাসী খাবার বিক্রি করতে না পারে সে জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি হয়েছে। জেলায় জেলায় অফিস রয়েছে। জেলা প্রশাসক ও সাংবাদিকেরা এই বিষয়ে নজর রাখবেন।’
খাদ্য অধিদপ্তরের মালিকানাধীন স্টিল কাঠামোর এই গুদামটি নির্মাণ করবে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। বর্তমানে দেশে স্টিল কাঠামোর তিনটি খাদ্যগুদাম নির্মাণাধীন রয়েছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জেরটি হবে চতুর্থ খাদ্যগুদাম। এর ধারণক্ষমতা প্রায় ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চাল। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৭৬ হাজার ১০২ ডলার।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সাংসদ শামীম ওসমান।
সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, ‘এখন সবাই আওয়ামী লীগ। এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ। পরগাছারা যেভাবে জাঁকিয়ে বসছে, তাতে আসল গাছ আর সামনে আসতে পারে না।’ তিনি বলেন, সবাইকে বলছি ষড়যন্ত্র আরও হবে। নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন গেছে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল, লাশের রাজনীতির চেষ্টা হয়েছিল। প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব সবার সহযোগিতায় দলীয় নেতা-কর্মীদের ধৈর্যের কারণে ও চেষ্টায় তা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের দেশটাই ষড়যন্ত্রে আছে। অনেক বড় পরীক্ষা আমাদের সামনে দিতে হবে। তাই প্রশাসনের লোকজনদের বলব সামনে সিটে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের চেয়ার রাইখেন। কারণ তারাই রক্ত দেবে তারাই লড়াই করবে রাজপথে।নারায়ণগঞ্জ অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে। তাদের ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। ৭৫ এর পর যারা জীবন দিয়েছেন নূর হোসেনের মতো তাদের অনুদান না দেওয়া হলেও নামের তালিকা প্রকাশ করা উচিত। নয়তো কোনো একদিন দেখা যাবে তাদের নাম সন্ত্রাসীদের তালিকায় চলে এসেছে।