প্রথমেই বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জেতায়। আগের দুই বিশ্বকাপের শেষটিতে সুপার টুয়েলভে ৫টি এবং এর আগেরটিতে সুপার টেনে টানা ৪টি ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।
এদিক থেকে আসলেই দিনটা ভালো ছিল বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে বোলার ও ফিল্ডাররা ম্যাচটি জিতিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্কোর খুব আহামরি কিছু ছিল না। সেক্ষেত্রে পুরো কৃতিত্বটাই আমি দেব তাসকিন আহমেদকে। প্রথম দুই বলে দুটো উইকেট নিয়েছে।
এরপর দুটো রানআউটের পর নেদারল্যান্ডস একেবারে চাপে পড়ে যায়। এরপরও নেদারল্যান্ডসের এক ব্যাটার ৬২ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন। এই জয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দেব না। শুরুটা ভালো করলেও পরে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, বলার মতো আফিফের ৩৮ রানের একটি ইনিংস ছাড়া। পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৭ রান, এটাও বাংলাদেশের জন্য বড় পাওয়া।
আসলে পুরো কৃতিত্ব বাংলাদেশের ফিল্ডারদের, আমি বলব। যেভাবে তারা ফিল্ডিং করেছে, রানআউট করেছে এবং বোলিং করেছে। মোস্তাফিজের কথাও যদি চিন্তা করেন, ৪ ওভার বোলিং করেছে, যদিও কোনো উইকেট পায়নি। তবে রান দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কৃপণ ছিল। আমার মনে হয়, মোস্তাফিজ তার পুরোনো ফর্ম ফিরে পেয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় আরও ভালো করবে হয়তো।
পরের ম্যাচ খেলার আগে এই জয় একটু অনুপ্রাণিত করবেই। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা অনেক ভালো দল। বাংলাদেশ যদি সেই ম্যাচ জিততে চায় আরও ভালো খেলতে হবে। শুধু ওপেনিং জুটি ও আফিফ ভালো করলে হবে না। অধিনায়ককেও ভালো ব্যাটিং করতে হবে।
অধিনায়ক বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে গেছেন মাত্র ৭ রান করে। তাঁর অহংকারী মনোভাবও দূর করতে হবে। হোবার্টে সে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাঙালিদের সঙ্গেও ভালো আচরণ করছেন না, আমি যতদূর জেনেছি বা শুনেছি। এই অহংকারী মনোভাব তাঁকে ত্যাগ করতে হবে।