দক্ষিণ ভারতের ছবি ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। এ ছবি তৈরি হয়েছিল চন্দন কাঠ পাচারের কাহিনি নিয়ে। চন্দন কাঠ এতটাই দামি যে তার পাচার ঠেকাতে ভারত সরকারকে আলাদা করে আইন করতে হয়েছে। চন্দন কাঠের মতো আরও কিছু দামি কাঠ আছে। চলুন পড়ে নেওয়া যাক পৃথিবীর পাঁচটি দামি গাছের গল্প।
পিংক আইভরি
পিংক আইভরি। এটি একটি গাছের নাম। জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় এই গাছটির কদর এর নজরকাড়া প্রাকৃতিক গোলাপি-লাল রঙের জন্য। এর ব্যবহার মূলত ওষুধশিল্পে, বিলিয়ার্ড কিউ এবং শৌখিন ছুরির হাতল তৈরিতে। পিংক আইভরিগাছের কাঠ পৃথিবীর অন্যতম দামি কাঠ। এর প্রতিটি বোর্ডের দাম ৮ ডলার বা প্রায় ৭০০ টাকা।
বোকোট
মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলে পাওয়া বোকোট নামের গাছটি কিছুটা কম পরিচিত হলেও সুন্দর আকৃতির জন্য এ গাছের কাঠ আছে উচ্চমূল্যের শ্রেণিতে। এ গাছের একেকটি বোর্ডের দাম ৩০ ডলার। এ কাঠ দিয়ে তৈরি একটি ডেস্ক বা টেবিলের দাম প্রায় ২০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৭ লাখ টাকার বেশি।
চন্দন
চন্দন কাঠের প্রতিটি গাছের দাম গড়ে ২০ হাজার ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ টাকার বেশি। একটি চন্দনগাছের ওজন হয়ে থাকে সাধারণত ১০০ কেজির মতো। সে সূত্রে এর প্রতি কেজি কাঠের মূল্য প্রায় ২০০ ডলার। চন্দন কাঠের অতিমূল্যের কারণ এটি সুগন্ধিযুক্ত। এর নির্যাস থেকে তৈরি হয় এক বিশেষ ধরনের তেল ও দামি সাবান। এ ছাড়া ওষুধশিল্পেও ব্যবহৃত হয় চন্দন কাঠ।
আগর
আরেকটি মূল্যবান গাছ আগর। এর কাঠের দাম বিস্ময়কর। প্রতি কেজি আগর কাঠের মূল্য ১০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে আট লাখ টাকা। মিয়ানমার অঞ্চলের স্থানীয় এ গাছ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক ঘ্রাণ ও তেল সুগন্ধি শিল্পের অন্যতম অনুষঙ্গ। মূলত ঘ্রাণের জন্য এটি বিশ্বের অন্যতম দামি গাছ।
আফ্রিকান ব্ল্যাকউড
বিশ্বের দামি গাছ বিপন্ন প্রায় আফ্রিকান ব্ল্যাকউড। এ গাছের প্রতি কেজি কাঠের মূল্য ১০ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে আট লাখ টাকার বেশি। শুধু আফ্রিকার শুষ্কতম অঞ্চলে এটি পাওয়া যায়। বেশ কিছু দামি বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে এই কাঠ ব্যবহৃত হয় বলে এর আকাশছোঁয়া বাজারমূল্য।
সূত্র: টারজান ট্রি সার্ভিস অবলম্বনে