হোম > ছাপা সংস্করণ

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ

সম্পাদকীয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ছাত্ররাজনীতি এবং দেশের বিভিন্ন বিষয়ে যে কথাগুলো বলেছেন, তা নতুন নয়। কিন্তু দেশেররাষ্ট্রপতি যখন কথাগুলো উচ্চারণ করেন, তখন তা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় এবং বিশ্লেষণ করতে হয়।

আমাদের দেশের বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্ররা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং অকুতোভয়ে যেকোনো সরকারি ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছেন, সে কথা স্মরণে রেখেই বলতে হচ্ছে, আজকের ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সেই নিবেদিতপ্রাণ ছাত্ররাজনীতির আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এখন কি ‘ছাত্রনেতা’ শব্দটা শুনলে খুব বেশি শ্রদ্ধা আসে মনে?

ছাত্রনেতাদের মধ্যে পেশিশক্তি খাটিয়ে পয়সা কামানোর ধান্দা এখন শুধু মুখরোচক গল্পই নয়, রাজনীতির জন্য তা বিরাট অশনিসংকেত। শুধু ছাত্রনেতারাই বা কেন, বড় বড় রাজনীতিবিদও বিভিন্ন কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন। রাজনীতি বহুদিন ধরেই জনগণের কল্যাণে নিবেদিত নয়; বরং সাধারণ জনগণকে উপেক্ষা করেই তা এগিয়ে চলে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের দিকে তাকালেই দেখা যাবে সেখানে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং নিজের আখের গুছিয়ে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সৎ রাজনীতিবিদেরা দিন দিন রাজনীতির মাঠ থেকে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একসময় তাঁরা হয়ে উঠবেন বিপন্ন প্রাণীর মতো সংরক্ষণযোগ্য।তাঁদের সম্পর্কে বলা হবে, এই লোকেরা জনগণের জন্য কাজ করতেন। জনগণের জন্য কাজ করা তখন হয়তোবা কিংবদন্তি বা মিথে পরিণত হবে।

আমরা অত দূর যেতে চাই না। আমরা চাই না সত্যিই রাজনীতি কলুষিত হতে হতে জনগণের থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ুক। সরকারি নানা পরিকল্পনায় সাধারণ দরিদ্র মানুষকে বাঁচানোর কিছু পদক্ষেপ দেখা যায়। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিতে সৎ ও জনগণের কাছাকাছি থাকা রাজনীতিবিদ প্রায় নেই বলে জনগণ সেই পরিকল্পনার সুফল পায় কম।‌ জনগণের স্বার্থে রাজনৈতিক নেতারা যদি জীবন উজাড় করে দিতেন, তাহলে আমাদের দেশের রাজনীতি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারত।

রাষ্ট্রপতি খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের মানসিক প্রবণতার বিশ্লেষণ করেছেন। ব্যবসা শুরু করার আগেই যদি কেউ আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার চিন্তা করেন এবং নীতিনৈতিকতা বাদ দিয়ে শুধু নিজে বড়লোক হওয়ার চিন্তায় মগ্ন থাকেন, তাহলে সত্যিই সেই শিল্পপতির মাধ্যমে কোনো ধরনের উপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আমরা তো এরই মধ্যে দেখেছি, জনসেবার বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁদের অনেকের মধ্যেই জনসেবার চেয়ে ব্যবসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আমরা বলতে পারি, পুঁজিবাদী সমাজে বাজার অর্থনীতিতে এ রকম প্রবণতা থাকে, কিন্তু যে প্রবণতা মানুষের মানবতাকে ম্লান করে দিয়ে শুধু অর্থ উপার্জনকে জীবনের লক্ষ্য করে তোলে, সেটা যে দেশেই হোক না কেন, কোনোভাবেই তা জনকল্যাণমুখী হতে পারে না। রাষ্ট্রপতি শুধু সেটাই মনে করিয়ে দিলেন। কিন্তু সৎপথের দিশা কীভাবে পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্নের উত্তর তো মিলল না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ