নদীর নাম নবগঙ্গা। তবে দেখলে মনে হবে কোনো খাল। যারা জানেন না এটি নদী তাঁরা খাল বলেই চালিয়ে দেন। নবগঙ্গা নদীটির একটি অংশ মাগুরা জেলা শহরের পাশ ঘেঁষে বহমান।
বর্ষা খালে নদীতে থইথই পানি তো শুকনা মৌসুমে গরু চরে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে জেলায় ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। সেই পানিতে নবগঙ্গার বুকে পানিতে ভরপুর। স্রোতের বেগে জমাট কচুরিপানাও নেই কদিন ধরে। মাছ শিকারিরা তাই ফাঁদ পেতেছেন দিনভর।
৫ যুগের বেশি সময় ধরে মাছ মারার অভিজ্ঞতা ৭০ বছরের শঙ্করের। এলাকায় সে মেছো দাদু বলে পরিচিত। নদীর বুকে তার বসবাস না হলেও রোগব্যাধি নিয়েই তিনি ছূটে যান নদীর বুকে। পেশা এখন মাছ ধরার নেশাও তার।
শঙ্করের বাড়ি জেলা সদরের আঠারখাদা গ্রামের পূর্বপাড়া। পৌরসভার ভেতরেও হলেও এলাকাটি পুরো গ্রাম এলাকার মতোই রয়েছে। ৬ জন পরিবারে শঙ্করই ভরসা। ভোরে নদীর পানি বাড়তে থাকায় ছেঁড়া খেপলা জালটি বেঁধেছেন নবগঙ্গার বুকে। বাঁশের কাঠামো আগেই ছিল শুধু বৃহৎজালটি ঠিকঠাক করে বসে আছেন মাছ ধরার জন্য। কিন্তু ৫ ঘণ্টায় মাছ পেয়েছেন মাত্র দু শ গ্রাম হবে বলে তিনি জানান।
গতকাল রোববার সকালে মাছ মারা অবস্থায় শঙ্কর কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭০ বছরের ভেতরে ৬০ বছরই এই পেশায়। আগে নদীতে মাছ হতো তখন আমার মত অনেকে রাত জেগেও মাছ ধরতো নদী কিংবা খাল বিলে। খেপলা জাল থরে থরে ফেলতাম। কিন্তু এখন পানি হলেই মাছ থাকে না। কত জল এই কয়দিনের বৃষ্টিতে। কিন্তু সব পানিই পচা। ঘোলা পানিতে মাছ থাকে না। শঙ্করের ধারণা ঘোলা পানি মাছের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য এখন আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না।