হোম > ছাপা সংস্করণ

বৃষ্টিতে ১৩ ভাটার কাঁচা ইট নষ্ট

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

হঠাৎ বৃষ্টিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ১৩ ইটভাটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শুক্রবারের বৃষ্টিতে অধিকাংশ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভাটার মালিকেরা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। যার কারণে সাময়িকভাবে ইটভাটাগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুষ্ক আবহাওয়া থাকায় প্রতিবছর এ সময়ে ইট তৈরি করা হয় ভাটাগুলোতে। কাঁচা মাটি রোদে শুকিয়ে নিয়ে আগুনে পুড়ে প্রস্তুত করা হয় ইট। কিন্তু এবার মাঘ মাসের শেষের দিকে শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। চলে রাত অবধি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব ভাটার ইট।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, লঘুচাপের কারণে চাঁদপুরসহ এ অঞ্চলের বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের এনায়েতনগর সাহেব বাজারে অবস্থিত ব্রিক ফিল্ডের মালিক সরকার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ইটভাটায় প্রায় ছয় লাখ কাঁচা ইট রোদে শুকাতে দেওয়া আছে। শুক্রবার বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কাঁচা ইট রক্ষায় প্রায় এক লাখ টাকার প্লাস্টিক কেনা হয়েছে। কিন্তু এরপরও প্রায় তিন লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে। যেটুকু কাঁচা ইট চাতালে রয়েছে, সেগুলোও আংশিক গলে গেছে।’

মাটি থেকে কাঁচা ইট তৈরি করতে শ্রমিক খরচসহ প্রতিটি ইটে খরচ হয় প্রায় তিন টাকা। এতে তাঁদের ভাটার প্রায় নয় লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

গোপালকান্দি গ্রামের ইটভাটার মালিক কামাল হোসেন বলেন, এক হাজার কাঁচা ইট তৈরি থেকে শুকানো পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার টাকা খরচ পড়ে। এ অবস্থায় এক লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হওয়া মানে প্রায় তিন লাখ টাকা নষ্ট হওয়া।

কামাল হোসেন আরও বলেন, বৃষ্টির আশঙ্কায় কাঁচা ইটে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরও তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এতে আবার নতুন করে ইট তৈরি না করা পর্যন্ত ইটভাটা বন্ধ রাখার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ফাইভ স্টার ইটভাটার মালিক সাজেদুল হোসেন বাবু বাতেন বলেন, ‘আমাদের ভাটামালিকদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো পথ নেই। পুরো উপজেলার সব ইটভাটার মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদি ব্যাংক বিনা সুদে আবার ভাটামালিকদের ঋণ দেয় এবং সরকারি আয়কর ও আগের ঋণের সুদ মওকুফ করে—তাহলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। এ জন্য আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।’

অন্যদিকে, ইটভাটার মালিকদের লোকসানের কারণে কাজ বন্ধ হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন এক হাজার ইটভাটার শ্রমিক। আয়ের উৎস বন্ধ হওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। এ অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চান তাঁরা।

মতলব উত্তর ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস বলেন, এ সময় বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু হঠাৎ শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার সব ইটভাটার কাঁচা ইট বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। প্লাস্টিক দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এতে সবার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ