মানিকগঞ্জের ঘিওর সদর ইউনিয়নের চঙ্গশিমুলিয়া গ্রামের কৃষক মুন্নাফ খান। সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে করেছেন বিএ (সম্মান) পাস। দীর্ঘদিন বিভিন্ন চাকরির জন্য চেষ্টা করেও তা পাননি। অবশেষে পুরোদমে শুরু করেন কৃষিকাজ। আধুনিক চিন্তাধারা আর যুগোপযোগী কৃষি পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ফলে প্রথম বছরেই তিনি দেখেন লাভের মুখ। সংসারে এসেছে সচ্ছলতা।
এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মুন্নাফকে। বর্তমানে পাঁচ বিঘা জমিতে করছেন শসা চাষ। এর মধ্যে নিজের জমি দুই বিঘা, তিন বিঘা নিয়েছেন বর্গা।
মুন্নাফ খান বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে হাইব্রিড শসা লাগিয়েছেন তিনি। বীজ, সার, কীটনাশক আর পরিচর্যার মজুরি মিলিয়ে খরচ পড়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা। বীজ লাগানোর দেড় মাসের মধ্যেই ধরেছে শসা। কার্তিক থেকে শুরু করে মাঘ মাসের শেষ পর্যন্ত তিনি শসা বিক্রি করতে পারবেন।
মুন্নাফ বলেন, তিনি তাঁর উৎপাদিত শসা মানিকগঞ্জ আড়তসহ ঢাকার কারওয়ান বাজার ও আশুলিয়ার বাইপাইল কাঁচা বাজারে বিক্রি করেন। বর্তমানে প্রতি কেজি শসা ২৫ থেকে ৩০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করছেন মুন্নাফ। তিনি মোট ৫ লক্ষাধিক টাকার ওপরে শসা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। অর্থাৎ এ সময়ে তিনি আড়াই লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন।
মুন্নাফ খান আরও বলেন, বালাই দমনে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। কুয়াশা ও সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির কারণে শসার ডগায় ও কচি শসায় পচন ধরে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পাখি থেকে শসা রক্ষায় মাচায় জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ‘মুন্নাফ খানের সফলতায় এলাকার অনেক চাষি শসা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। শসা চাষে তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান অন্যান্য শস্য ফলনেও কাজে লাগবে। আমাদের মাঠকর্মীরা সবজিচাষিদের নিয়মিত কৃষি পরামর্শ ও সেবা দিয়ে আসছেন।’