নীলফামারীর ডোমার বসুনিয়া গরুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বাগ্বিতণ্ডা হচ্ছে ইজারাদারের লোকদের। হাটটি সপ্তাহে সোম ও শুক্রবার দুই দিন বসে।
গরু ব্যবসায়ী মো. শাহিন ইসলাম অভিযোগ করে জানান, বসুনিয়া হাটে তিন গুণ টোল আদায় করা হয়। একটি গরু কেনাবেচার সরকার নির্ধারিত টোল হচ্ছে ২২০ টাকা। আর এখানে ইজারাদার আদায় করছেন ৬০০ টাকা। এত বেশি টাকা যদি টোল দিতেই যায়, তাহলে ব্যবসা চলবে কীভাবে।
মতিয়ার রহমান নামের এক ছাগল ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি প্রতি হাটে কয়েকটা ছাগল কিনি। আবার কিছু লাভ হলে, সেই হাটেই বিক্রি করে দিই। একটি ছাগল কেনাবেচা করতে ১৮০ টাকা টোল দিতে হয়। অথচ ছাগলের সরকার নির্ধারিত টোল মাত্র ৬০ টাকা। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের লোকজন ধমক দেয়। এতে মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে ইজারাদারের লোকজনের ঝামেলা হচ্ছে।’
মো. নাজমুল ইসলাম নামের এক টোল আদায়কারী বলেন, ‘যে গরু কিনছেন, তাঁর কাছে ৫০০ টাকা আর যে বিক্রি করছেন, তাঁর কাছ থেকে ১০০ টাকা মিলিয়ে ৬০০ টাকা টোল আদায় করছি।’
হাটের ইজারাদার মাহমুদ হাসান জানান, এবার ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় এ হাট ইজারা নিয়েছি। নির্ধারিত মূল্যে টোল আদায় করলে, ইজারার অর্ধেক টাকাও ওঠানো সম্ভব হবে না। অন্যান্য ইজারাদার যা টোল আদায় করছে, আমরাও তা-ই করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, ইজারাদার অতিরিক্ত টোল আদায় করার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।