কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া এলাকায় আমিনুল আলম নামের এক ইতালি প্রবাসী খুন হয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে তাঁর মাথা থেঁতলে দেন এক নারী। পরে ওই নারী বিষয়টি থানায় জানান। এর পর পুলিশ গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মরদেহ কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর আগে আমিনুলের বাড়িতে ওই নারী তাঁর স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। সেই সময় থেকেই আমিনুল আলমের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। এখন তিনি পরিবার নিয়ে অন্যত্র থাকেন। দেড় মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন আমিনুল আলম। চলতি মাসের ১২ তারিখ আবার তাঁর ইতালিতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
আমিনুল আলমের স্ত্রী সোমা আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বাসায় ভাড়া থাকতেন ওই নারী ও তাঁর স্বামী। তাঁরা আমাদের আর্থিক সচ্ছলতাসহ নানা বিষয় জানতেন। আমার স্বামী কয়েক দিন আগে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলেছেন। ওই টাকার জন্যই হয়তো আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
ওই নারীর বরাত দিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার রাতে বাসায় ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই নারী মরিচ বাটার শীল দিয়ে আমিনুলের মাথায় আঘাত করেন। এরপর বাসা তালা দিয়ে তিনি নিজেই থানায় এসে এ ঘটনা জানান। এ সময় তাঁকে আটক করা হয়। এর পর পুলিশ ওই বাসায় গিয়ে তালা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আবুবকর আরও বলেন, অবস্থা গুরুতর হলে সেখান থেকে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আমিনুল মারা যান। এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আশা করি খুব দ্রুত মূল বিষয় উদ্ঘাটন করা যাবে। এ নিয়ে আমিনুলের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।